রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনলো জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনলো জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনে শত শত বেসামরিককে হত্যা করেছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে রুশ সেনাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার তুর্ক বলেন, রুশ সেনারা এমন সব মানুষদের হত্যা করেছে যারা কোন হুমকি ছিল না। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে তারা হাত তুলে আত্মসমর্পণও করেছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে উপস্থাপন করা তাদের রিপোর্টে এমন চার শতাধিক অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, তদন্তকারীরা এমন একটি ঘটনাও পাননি যেখানে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য কোন রুশ সৈন্যকে জবাবদিহি করতে হয়েছে বা শাস্তি হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দু পক্ষই বড়দিন উপলক্ষে কোন যুদ্ধবিরতি করার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়। ফলকার তুর্ক বলছেন, আরো আক্রমণ চালানো হলে ইউক্রেনের পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হতে পারে। তিনি এই ‘অর্থহীন’ যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানান।
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলা অব্যাহত আছে। এক মাস আগে খেরসন অঞ্চলের একটি প্রধান শহর ছেড়ে চলে আসে রুশ বাহিনী। সেখানে রুশ গোলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। খেরসনের একটি সরকারী ভবন টার্গেট করে গোলা ছোড়া হয়। এতে ভবনটি ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিহতরা ওই ভবনের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন।
অপরদিকে রাশিয়ার দখলে থাকা শহরগুলোতে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনও। ইউক্রেনের হামলায় দনেতস্ক শহরে প্রায়ই বেসামরিক নিহত হচ্ছে। দনেতস্ক শহর ২০১৪ সাল থেকেই রুশপন্থীদের দখলে। তখন থেকেই নিয়মিত এ অঞ্চলে গোলা ছুড়ে আসছে ইউক্রেন। তবে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে এই গোলা নিক্ষেপ বেড়ে যায়। দনেৎস্কের মেয়র আলেক্সি কুলেমজিন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের কেন্দ্রে ৪০টি বিএম-গ্রাদ রকেট হামলা চালানো হয়েছে।