লিবিয়ায় ২২ বাংলাদেশি হত্যার আসামি গ্রেপ্তার
লিবিয়ায় ২২ বাংলাদেশি শ্রমিককে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা। ওই অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তদন্তকারীরা। এক বিবৃতিতে অপরাধ তদন্ত বিভাগ জানিয়েছে, ত্রিপোলির দক্ষিণে আজিজিয়া অপরাধ তদন্ত ইউনিটের সহযোগিতায় ওই গুরুতর অপরাধের জন্য বিপজ্জনক পলাতকদের একজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, অপরাধীরা অস্ত্রের জোরে মিজদা শহরে চুরি, খুন ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আটক ব্যক্তি আরও নয়টি অপরাধে অভিযুক্ত।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের হত্যার ঘটনাটি ২০২০ সালের মে মাসে সংঘটিত হয়। দুর্বৃৃত্তরা বিদেশি ৩০ শ্রমিককে লিবিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে মিজদাতে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২২ জনকে হত্যা করে তারা। পরে নিরাপত্তার বাহিনী অভিযান চালিয়ে আরো কিছু লোককে উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল লিবিয়ার মানব পাচারকারী একটি পরিবারের সদস্যরা। তারা ২৬ বাংলাদেশীসহ ৩০ জন অভিবাসীকে হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছিল। পরে আইনশঙ্খলা বাহিনী কয়েকজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ওই সময় রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তেল-নির্ভর অর্থনীতির কারণে লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের জন্য একটি গন্তব্য। তাছাড়া ভূ-মধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারীদের জন্যও লিবিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারেননি।