শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ভাইরাল সেই মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসায় ছাত্র নির্যাতনের একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান হাটহাজারী থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) তৌহিদুল করিম।
এর আগে শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।
মাওলানা ইয়াহিয়া নামের ওই শিক্ষককে হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর জন্মদিনে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন মা। আধ ঘণ্টার মতো ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মা যখন ফিরছেন, আট বছরের শিশুটি তখন মায়ের পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু মাদ্রাসার এক শিক্ষক শিশুটির ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনেন। ঠেলতে ঠেলতে এক কক্ষে নেওয়ার পর তাকে নৃশংসভাবে পেটাতে শুরু করেন।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট একটি শিশুকে ঘাড়ের কাছের কাপড় ধরে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছেন ওই শিক্ষক। শিশুটির পরনে হালকা গোলাপি পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামা আর সাদা গোল টুপি।
কয়েক পা যাওয়ার পর শিশুটিকে একটি ঘরে ঢোকানো হয়। এরপর শিশুটিকে মাটিতে ফেলে বেত দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। শুরুতে শিশুটির ডান হাত ধরে পেটানো হয়। একপর্যায়ে শিশুটি মাটিতে শুয়ে পড়ে। তখন তার ডান পা টেনে ধরে পায়ের ওপর পেটাতে থাকেন ওই শিক্ষক।
হাটহাজারী মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়।
রাতেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ওই শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসেন। আটক করা হয় নির্যাতনকারী শিক্ষককেও। কিন্তু শিশুটির মা-বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করতে রাজি না হওয়ায় প্রশাসন একপর্যায়ে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।❐