শিশু সামিউল হত্যায় মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে হত্যার অভিযোগ করা মামলায় মা এশা ও তার প্রেমিক বাক্কুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রায়ে আসামিদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে আসামিরা। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন দেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন। এশা ও বাক্কু গ্রেফতারের পর উভয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
জামিনে থাকা এশা গত ২৩ নভেম্বরের পর আর আদালতে হাজির হন নি। ওইদিনই আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) আগে থেকেই পলাতক ছিলেন।❐