সরকারের উদ্যোগে সিলেটে বন্যায় ক্ষতি কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দীর্ঘদিন সিলেটে কোনো নদীর সংষ্কার করা হয়নি। পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অকাল বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট মহানগর ও সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রকৃতিকে অস্বীকার করা যায় না। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, দীর্ঘদিন সিলেটে কোনো নদী সংষ্কার হয়নি, পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। নদী-খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এক সময় সিলেট শহর দীঘির শহর ছিল, চারপাশে পুকুর ছিল। আজ কিছুই নেই। শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং। যত জলাশয় ছিল, দখল হয়ে গেছে। সাগরদিঘীতে এক ফুটা পানিও নেই। এসব কারণেই তো এত বড় বন্যা দেখা দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যার সময় আমাদের সফলতা হলো তড়িৎ গতিতে মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমেছে।
তিনি বলেন, বন্যার মানুষকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইলাম। প্রধানমন্ত্রী নৌকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেনাবাহিনী পাঠিয়ে মানুষকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করলেন। এবারের বন্যায় সিলেটে সরকারের পক্ষ থেকে যা সাহায্য এসেছে তা আর কখনও আসেনি।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বন্যায় সময় নেতাকর্মীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। তারা শুকনো খাবার দিয়েছেন, ত্রাণ দিয়েছেন। এজন্য বলি, আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দরকার। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। জনগণের মান উন্নয়নে এ সরকার কাজ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট নয়াবাজারে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন। পরে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ঘোপাল পয়েন্টে এরপর মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ও সর্বশেষ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকা টুকেরবাজার হাজী আব্দুস সাত্তার হাইস্কুলে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি মানুষের গৃহ মেরামতের জন্য কয়েকজনের হাতে জনপ্রতি নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এসকল কর্মসূচিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।