সাংবাদিক নাদিম হত্যা: গ্রেফতার চেয়ারম্যান বাবুকে ঢাকায় আনা হচ্ছে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার ঘটনায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে ঢাকায় নিয়ে আসছে র্যাব।
শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার পর র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে শনিবার দুপুরে দেবীগঞ্জে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
কমান্ডার মঈন জানান, ঢাকায় আনার পরে বাবুকে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপির চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে গতকাল (শুক্রবার) রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এই বাবুর নির্দেশেই সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক নাদিম। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন নাদিম বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান। এ ঘটনার বর্ণনা দেন নাদিমের সহকর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আল মুজাহিদ।