সাবরিনা-আরিফুলের চার্জ গঠন, শুনানি ২০ আগস্ট
করোনা টেস্ট জালিয়াতির মামলায় বিতর্কিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসাইনসহ (সাবরিনা চৌধুরী) আট জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন শুনানির জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামির জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। এদিন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষে জামিন ও চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন এবং সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
সাবরিনা-আরিফুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত মামলার অপর আসামিরা হলেন- আরিফুল হক চৌধুরীর সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।
আদালত সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট ডা. সাবরিনাসহ আট আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, ডা. সাবরিনা ও তার সহযোগী আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে পজিটিভ, নেগেটিভ জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছেন। এই কাজ করে তারা শুধু টাকা আত্মসাৎই করেননি, জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করেছেন। এছাড়া জেকেজি থেকে বিদেশ গমনকারীদের করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্টও দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়। হিরু জানায়, তারা করোনার ভুয়া সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করত। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও হিরু জেকেজির জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে। এরপর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আর আরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার সম্পৃক্ততা উঠে আসে। ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর তাকে তেজগাঁও থানার এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর দু’দফায় সাবরিনাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান না বলে প্রতিষ্ঠানটির কোভিড-১৯ বিষয়ক পরামর্শক বলে দাবী করেন।❏🔿