সামরিক শক্তি সূচকে বাংলাদেশ ৪০তম, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
সামরিক শক্তি সূচকে চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন। পিছিয়ে রয়েছে নেপাল, আফগানিস্তান, ভুটান।
গতবারের মতো এবারও শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে রাশিয়া। শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া অন্যান্য দেশগুলো হল চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, ফ্রান্স এবং ইতালি। সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এ সূচক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (জিএফপি)।
জিএফপির সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৮৭১ । প্রথম স্থান অধিকারী যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর শূন্য দশমিক ৭১২। সংস্থাটি জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সামরিক সক্ষমতাকে সূচকের ভিত্তি হিসেবে ধরেছে তারা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের স্কোর ১০২৫। পাকিস্তানের স্কোর শূন্য দশমিক ১৬৯৪। শূন্য দশমিক ৫৭৬৮ স্কোর নিয়ে সূচকে ৩৮তম হয়েছে মিয়ানমার। আর ১২৯ তম স্থানে থাকা নেপালের স্কোর ২ দশমিক ৮৭২৮। তালিকার তলানিতে থাকা ভুটান পেয়েছে ছয় দশমিক ২০১৭ স্কোর।
২০২৩ সালের প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় ‘পাওয়ারস অন দ্য রাইজ’ হিসেবে ৫৩টি দেশকে বেছে নিয়েছে জিএফপি। সে তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জিএফপি’র তথ্যানুসারে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে এ তালিকা তৈরি করা হয়। দেশগুলোর সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যা – এরকম ৬০টিরও বেশি মাপকাঠির ভিত্তিতে তৈরি হয় এ সূচক।
সূচকে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা রয়েছে ৭১তম স্থানে। দেশটির স্কোর ১ দশমিক ২৪৭৮। গত শুক্রবার দেশটি নিজেদের সামরিক বাহিনী ছোট করে ফেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ২০৩০ নাগাদ নিজেদের সেনা সদস্য এক-তৃতীয়াংশ ছেঁটে ১ লাখে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দেশটি।