Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 29, 2024
Homeবাংলাদেশসামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত

সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত

সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ নির্দেশনা দেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সহকারী অধ্যাপক থেকে পদবনতি দেওয়ার বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমানের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। সামিয়া রহমানের আইনজীবী হাসান এমএস আজিম এ তথ্য জানান।

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রিটের শুনানি নিয়ে সামিয়া রহমানকে সহকারী অধ্যাপক থেকে পদবনতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান গত বছরের ২৮ জানুয়ারি ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

গবেষণাপত্র চুরির যে অভিযোগ সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে তা তদন্ত প্রতিবেদনসহ আদালতে জমা দিতে ঢাবি রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সামিয়ার আইনজীবী হাসান এমএস আজিম বলেন, ‘শিকাগো ইউনিভার্সিটি বা প্রেস থেকে সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আসেনি। অ্যালেক্ম মার্টিনের নামে সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ গবেষণাপত্রটি সামিয়া রহমান তৈরি করেননি এবং সেখানে তার সই ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামিয়া রহমান বিষয়টি ঢাবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন, কিন্তু তাকে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে পদবনতি দেওয়া হয়েছে। যা বেআইনি ও সংবিধানের পরিপন্থী।’

সামিয়া রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় গবেষণাপত্রে চুরির অভিযোগে পদবনতি দেওয়া হয়।

অপর ২ শিক্ষক হচ্ছেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

মুহাম্মদ ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদবনতি এবং তার পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে।

সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান একজন প্রভাষক। তিনি বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মারজান ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদানের পর আরও ২ বছর প্রভাষক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment