সিনেটর কমলা হ্যারিসের বিশেষ সাক্ষাৎকার
আমেরিকায় দুই রকমের বিচার ব্যবস্থা প্রচলিত : কমলা হ্যারিস
ইংরেজিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রূপসী বাংলা অনুবাদ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্টের মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় প্রচলিত পদ্ধতিগত বর্ণবাদকে অস্বীকার করার কারণে তীব্রভাবে তিরস্কার করেছেন। কমলা হ্যারিস বলেছেন, তারা ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতায় বাস করছেন।’
হ্যারিস বলেন, আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য এবং শ্বেতাঙ্গদের জন্য ‘আমাদের দুই ধরণের বিচারব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।’
মন্তব্যটি এসেছিল আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ এশীয় এই নারীর পক্ষ থেকে যিনি দেশটির প্রধান দলের পক্ষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন। যখন নভেম্বরে নির্বাচনের দু মাসেরও কম সময় বাকি, সিএনএনের সাংবাদিক ডানা ব্যাশ এর সঙ্গে ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ টক শো অনুষ্ঠানে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ট্রাম্প বর্ণবাদ বিচারের ক্ষেত্রে মোটেই ‘সত্যিকারের নেতা’ ছিলেন না। তিনি কেবলমাত্র করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে ‘নেতৃত্ব দেওয়ার ভান’ করার চেষ্টা করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর এবং সাবেক রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি জেনারেল কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি মনে করি না বেশীরভাগ যুক্তিসঙ্গত লোকেরা যারা সত্যিটা জানতে আগ্রহী তারা এটা নিয়ে কোনও আপত্তি জানাবেন যে, এখানে আইনের পদ্ধতি এবং প্রয়োগে জাতিগত বৈষম্য এবং বর্ণবাদে জড়িত একটি ব্যবস্থা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে অস্বীকার করে কোনও লাভ নেই। বরং আসুন এটাকে মোকাবিলা করি। আসুন আমরা সত্যটা বলি। এই আলোচনাটা কারও কারও জন্যে কঠিন হতে পারে, কিন্তু সেটা নেতৃবৃন্দের জন্য কঠিন কিছু নয়, অন্তত প্রকৃত নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তো নয়ই।’
দেশের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা উইলিয়াম বার, গেল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ‘দুই পদ্ধতির বিচার ব্যবস্থা’র ধারণাকে বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বর্ণবাদ সম্পর্কিত কোনও ধারণাকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, মানুষ যেভাবে বিষয়টার কথা বলছে বিষয়টা বাস্তবে ততটা বর্তমান।’
গত সপ্তাহে উইসকনসিনের কেনোসা সফরের সময় ট্রাম্পকে পদ্ধতিগত বর্ণবাদ সম্পর্কে বিশেষভাবে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এটি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন, আপনারা বারবার উল্টোদিকে চলে যাচ্ছেন। আমাদের বরং পোর্টল্যান্ডে, এখানে এবং অন্যান্য জায়গায় আমরা যে ধরণের সহিংসতা দেখেছি সেগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত।’
কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রতি পুলিশের সহিংসতার মাধ্যমে জাতিগত অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বিশেষত আইন প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে – মেনিয়াপোলিসের জর্জ ফ্লয়েড, কেন্টাকির লুইসভিলের ব্রেওনা টেইলর, উইসকনসিনের কেনোসার জ্যাকব ব্লেক এবং নিউ ইয়র্কের রচেস্টারের ড্যানিয়েল প্রুডসহ সবগুলো ঘটনা – এবারের গ্রীষ্মের প্রধান প্রধান শিরোনাম।
জুলাইয়ে এবিসি নিউজ, ওয়াশিংটনের এক পোস্ট জরিপে, প্রায় দশ জনের মধ্যে নয় জন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান বলেছেন, তারা কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানের সঙ্গে সমান পুলিশি আচরণ বিষয়ে ভরসা রাখতে পারছেন না, আবার বেশীরভাগ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান বলেছেন যে তারা নিশ্চিত যে তাদের সঙ্গে সমান আচরণই করা হয়।
২০১৯ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা তাদের প্রতি বর্ণ কিংবা জাতিগত কারণে পুলিশের অন্যায়ভাবে থামিয়ে দেওয়ার কথা প্রায় পাঁচগুণ বেশি বলে বর্ণনা করেছেন।
হ্যারিস, ব্যাশ কে বলেন, ‘আমি একটা ব্যাপারে স্পষ্ট যে আমাদেরকে আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তা অর্জনের বিষয়ে পুনরায় ভেবে দেখতে হবে।’
‘যদি আমরা নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, তাহলে সমাজের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ করা হলো চৌকষ পদ্ধতি। কারণ স্বাস্থ্যকর সমাজ ব্যবস্থাই নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা।’
শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউস ফেডারেল এজেন্সিগুলোতে ‘সাদাদের অধিকার’ সম্পর্কিত বর্ণগত সংবেদনশীলতা প্রশিক্ষণকে নিষিদ্ধ করতে এক নির্দেশ জারি করে। প্রশাসন একটি স্মারকপত্রে প্রশিক্ষণটিকে ‘বিভেদমূলক, আমেরিকানবিরোধী প্রচার’ বলে উল্লেখ করেছে।
ব্লেকের পেছন থেকে সাতবার গুলি করা কেনোসা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আহ্বান জানানোর বিষয়ে হ্যারিস জোর দিয়ে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে ‘পুরোপুরি নিশ্চিত’ এবং এই অভিযোগকে ‘অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।’
তিনি তার প্রাথমিক বক্তব্যকে পুনরাবৃত্তি করে আবারও বলেন যে ‘আমি যা দেখেছি তার ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা উচিত,’ কিন্তু ‘সত্য এবং প্রমাণের সবকিছুর পুরোটা আমার কাছে নেই।’
করোনভাইরাস প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প
প্রশাসনে হ্যারিসের তীব্র আঘাত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৮,০০০ এরও বেশী মানুষ মারা যাওয়ার পরে, করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ‘গুরুত্ব হ্রাস করতে’ এবং লক্ষ লক্ষ আমেরিকানের শেষ লড়াইয়ের সংগ্রামের জন্য কিছু করতে ব্যর্থ হওয়ায় হ্যারিস ট্রাম্প প্রশাসনকে আক্রমণ করেন।
‘মহামারীর ফলে ঘটে যাওয়া মারাত্মক চাকরির ক্ষতি হ্রাস করার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পূর্ণ ব্যর্থ, অক্ষম এবং সমর্থনহীন এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ তিনি মহামারীর সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন,’ হ্যারিস বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ কিভাবে চলছে তার ওপর ভিত্তি করে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলা উচিত। এবং এই মুহুর্তে, শ্রমজীবী লোকেরা ভুগছে।’
শুক্রবারে (৪ সেপ্টেম্বর) শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন ৮.৪%। এটা এপ্রিলের বেকারত্বের হার ১৪.৭% থেকে অনেক কম। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির মহামারীর আগের বেকারত্বের হার ৩.৫% থেকে এখনও অনেক অনেক বেশী।
হ্যারিস বারবারই বলেছেন, তিনি করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে শুধুমাত্র ট্রাম্পের কথার ওপর একটুও ভরসা রাখতে পারছেন না, তবে তিনি বলেছেন, জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফুসিসহ ‘জণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের কথায় আস্থা রাখেন।’
‘জো বাইডেন এবং আমার একটি পরিকল্পনা আছে।’ ভ্যাকসিন বিতরণ বিষয়ে হ্যারিস বলছিলেন। ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও পরিকল্পনা নেই।’
শুক্রবারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, ‘সম্ভবত’ অক্টোবরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এসে পড়বে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটা আসতে আরও দেরী হতে পারে।
ট্রাম্প শুক্রবার আরও বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ভাইরাসকে ঘেরাও করে কোণঠাসা করে ফেলেছে।’ কিন্তু সেদিন সকালেই, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের একটি নতুন মডেলের অনুমান হচ্ছে বছর শেষে ৪০০,০০০ এরও বেশী আমেরিকান ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। মহামারীর শুরুর দিনগুলোতে হোয়াইট হাউস, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড এভ্যালুয়েশনের পূর্ববর্তী মডেলগুলোকে নিয়মিত উল্লেখ করেছিল।
পাবলিক স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যান্য টিকার সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকাও রাজ্যগুলোর পক্ষ থেকে আদেশক্রমে বাধ্যতামূলক করা উচিত হবে কিনা তা জানতে চাইলে হ্যারিস জানান, এ বিষয়ে তিনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুনবেন।
হ্যারিস রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মাস্ক আদেশনামায় ফিরে যেতেও অস্বীকার করেন, বরং এটিকে তিনি ‘জাতীয় মর্যাদা’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘এটা কোনও শাস্তি নয়। এখানে শাসন করার বিষয় নেই।’
‘আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি এই পক্ষপাতিত্বমূলক সমস্যাটা তৈরি করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনি গত নির্বাচনে কাকে ভোট দিয়েছিলেন বা আগামী নির্বাচনে কাকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন এটা এখন ভাইরাসের থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এমন নেতৃত্বের দরকার যে প্রশংসা করতে পারে। এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব করা কখনওই উচিত নয়। মাস্ক পরিধান করা অবশ্যই এমন বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।’
নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ আমাদেরকে
‘তত্ত্বগতভাবে’ ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে
হ্যারিস বলেন, ‘অবশ্যই ২০২০ এর নভেম্বরের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ডেমোক্র্যাটদের জন্য হোয়াইট হাউসের ‘তত্ত্বগতভাবে’ ক্ষতি করতে পারে।
‘এরা কি তোমাদের হোয়াইট হাউস নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে পারে?’ ব্যাশ জিজ্ঞাসা করলেন। ‘তাত্ত্বিকভাবে, হ্যাঁ, অবশ্যই পারে।’ হ্যারিসের উত্তর, ‘আমার ধারণা ২০২০ সালের নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ হবে এবং সেই সারির সম্মুখভাগে থাকবে রাশিয়া।’
গেল সপ্তাহে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে এক গোয়েন্দা ইশতেহারে জানানো হয় যে, রাশিয়া, মেইলে ভোট দেওয়া নিয়ে জালিয়াতি হতে পারে বলে মিথ্যা আরোপের মাধ্যমে ২০২০ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহের বীজ বোনার চেষ্টা করছে। গেল মাসে গোয়েন্দা সমিতির সর্বোচ্চ নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, রাশিয়া, জো বাইডেনকে ‘হেয়’ করার জন্য কাজ করছে, অন্যদিকে চীন ও ইরান ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বিপক্ষে রয়েছে।
‘আমি রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আছি।’ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়াকে নিন্দা জানাতে ইওরোপিয়ান নেতাদের সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এবং রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্স নাভালনির ওপর ঘটে যাওয়া হামলার ব্যাখ্যা দাবীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প একথা বলেন। ‘আমি ঠিক জানি না ওখানে কি ঘটেছিল। আমি মনে করি এটা দুঃখজনক, ভয়ানক, এবং কাজটি ঠিক হয় নি। আমাদের কাছে এখনও কোনও প্রমাণ নেই, তবে আমি ব্যাপারটা দেখব,’ ট্রাম্প বলেছিলেন।
হ্যারিস: মা বলতেন, ‘ট্রাম্পকে হারাও’
ডানা ব্যাশের সঙ্গে এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস নিজের পরিবার সম্পর্কেও খোলামেলা কথা বলেছেন। বলেছেন তার স্বামী, সৎ সন্তান এবং মৃত মায়ের সাথে তার সম্পর্কের কথা।
২০০৯ সালে ক্যান্সারে মারা যাওয়া মাকে স্মরণ করে হ্যারিস বলেন, ‘আমার মনে হয় মা সত্যিই ভীষণ গর্বিত হতেন।’ ‘এবং বলতেন, ট্রাম্পকে হারাও।’
‘মানুষের সেবা করার জন্য তিনি আমাদের ছোটবেলা থেকেই তৈরি করেছিলেন। তিনি যদি এখনকার আমাদের এই দুর্ভোগ দেখতে পেতেন, তিনি যদি এখন এই মুহূর্তে বিজ্ঞানকে যেভাবে অস্বীকার করা হয়েছে সেটা দেখতেন, তিনি প্রস্রাব করে দিতেন, আমার ভাষার জন্য ক্ষমা করবেন।’ হ্যারিস, তার স্তন ক্যান্সার গবেষক মায়ের কথা বলছিলেন।
হ্যারিসের দুজন সৎ সন্তান রয়েছে, কোল এবং এলা। স্বামী ডোগ এমহোফ’র সঙ্গে তারা একসঙ্গে থাকেন।
‘আমাদের পরিবার খুবই আধুনিক,’ হ্যারিস জানান। ‘সবাই যখন নিজের মতো করে এগিয়ে আসে তখন কিন্তু ভাগ করে নেওয়ার মতো অঢেল ভালোবাসা থাকে এবং পরিবার সজীব থাকে। আমাদের এই বড় পরিবারে সবার সঙ্গে সবার ভাগ করে নেওয়ার মতো অঢেল ভালোবাসা রয়েছে।’❐
সিনেটর কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিএনএনের সাংবাদিক ডানা ব্যাশ, সাক্ষাৎকারটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন জাহান আরা দোলন