সীমান্ত দেশে দেশে বন্ধ আবারও
করোনার নতুন প্রজাতিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে। অনেক দেশই দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
নতুন প্রজাতিটি আগের ভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশী সংক্রামক, এমন সংবাদ প্রকাশের পর দেশে দেশে নতুন করে সীমান্ত বন্ধ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্না ইতোমধ্যেই করোনার নতুন প্রজাতিটির ওপর তাদের উদ্ভাবিত টিকার প্রয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির মতে, নতুন প্রজাতিটির বিরুদ্ধেও তাদের টিকা সমান কার্যকর। তবে মডার্না জানিয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও সঠিকভাবে জানাতে পারবে করোনার নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে তাদের টিকা কতটা কার্যকর।
নতুন এই প্রজাতিটিকে কিছু বিজ্ঞানী বি.১.১.৭ গোত্রের বলে ধারণা করছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে কভিড-১৯ বহুবার তার ধরন পাল্টেছে।। কিন্তু অন্য ধরনের থেকে এই ধরনটির চারিত্রিক অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এর সংক্রমণের গতি।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে নতুন এই প্রজাতির সংক্রমণে আগের তুলনায় আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি হাসপাতালেও রোগী ভর্তি বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত রোগীদের ৬২ শতাংশই নতুন প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া, ইটালি এবং নেদারল্যান্ডস জানিয়েছে তাদের দেশেও নতুন প্রজাতির করোনায় আক্রান্ত ধরা পড়েছে। নেদারল্যান্ডসে ডিসেম্বরের শুরুতেই তা ধরা পড়ে। ফলে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, নতুন প্রজাতিটি যুক্তরাজ্য থেকেই ছড়ানো শুরু হয়েছে কিনা।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কেও একই প্রজাতিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল বেলজিয়াম জানিয়েছে, সেখানেও নতুন প্রজাতিতে সংক্রমিত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের পরীক্ষামূলক ওষুধ বিভাগের অধ্যাপক পিটার ওপেনশ জানান, নতুন প্রজাতির সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত। যুক্তরাজ্যের যা অবস্থা তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট ব্যাপার আছে।
তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়, নতুন এই প্রজাতিটি অনেক সময় করোনা পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড ল্যাবরেটরি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ রবার্ট শর্টেনের মতে, নতুন প্রজাতিটিকে পরীক্ষার মাধ্যমে ধরতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে হয় যা কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে করা লাগে না।❐
আল জাজিরা