স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ঋণ নিয়ে এখন বিপাকে
বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত ব্রঙ্কসের স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ২ লাখ ডলার ঋণ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। তার এই ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব এডুকেশন তদন্ত করছে। সেই তদন্তের উপরই নির্ভর করছে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার ভাগ্য।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নির্বাচনের সময় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ফান্ডের জন্য তিনি লংআইল্যান্ডের ডাক্তার ইফরিন জ্যাকের কাছ থেকে ২ লাখ ডলার ঋণ নিয়েছিলেন। যদিও তিনি এই অর্থ ২০১৮ সালের এপ্রিলের নির্বাচনে ব্যবহার করেছিলেন। এই অর্থ তিনি ৪% ইন্টারেস্টে গ্রহণ করেছিলেন। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য এত বড় ঋণ নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। তবে এই ঋণ যদি তিনি সময়মতো পরিশোধ করেন তাহলে কোনও অসুবিধা নেই।
স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদার ক্যাম্পেইন ট্রেজারার ওসহ্যারি জ্যাক ডাক্তারের ভাই। নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা ২০১৮ সাল পর্যন্ত (নির্বাচনের ৫ মাস পরেও) ঋণের অর্থ পরিশোধ করেন নি। বোর্ড অব ইলেকশনের স্পোকসম্যান জন বলেন, সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করা এক ধরনের ভায়োলেশন। তিনি আরও বলেন, যে কোনও নির্বাচনী ফান্ডে একজন ব্যক্তি ১ লাখ ১৮ হাজার পর্যন্ত ডোনেশন করতে পারেন।
এ বিষয়ে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বলেন, তিনি ঋণের এই অর্থ সময়মতো পরিশোধ করেছেন। অভিযোগের কারণে বিষয়টি নিউইয়র্ক বোর্ড অব এডুকেশন তদন্ত করছে। সেই তদন্তেই স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভাদার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।