স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলন নয়
সংবিধানের ৩৭৫ ধারা বিবাহের পর স্ত্রীর শরীর, মনের পূর্ণ অধিকার দিয়েছে ভারতীয় পুরুষকে। এই অধিকারের বলে ভারতীয় পুরুষরা স্ত্রীর অনিচ্ছাতেও তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করছেন। ভারতের শীর্ষ আদালত এই ধারার পরিবর্তন চায়। কেন স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলন ধর্ষণ বলে চিহ্নিত হবে না- এমন একটি মামলার শুনানিতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জানুয়ারি মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুর ও বিচারপতি নরসিংহমের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শুনবে। ভারতে সংবিধান বলে প্রথমে ১৫ বছরের কম বয়স্ক স্ত্রীদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র অনিচ্ছুক সঙ্গমকে বিবাহোত্তর ধর্ষণ বলে ধরা হতো। ২০১৭ সালে বয়সটি করা হয় ১৮ বছর। সুপ্রিম কোর্ট চাইছে অনিচ্ছুক স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন যেন ধর্ষণ বলে পরিগণিত হয়। বয়স এক্ষেত্রে যেন কোনও বিষয় না হয়। কর্ণাটক হাইকোর্ট এবং দিল্লি হাইকোর্টের এই বিষয়ে দেয়া দুটি রায়ও বিবেচনায় আনা হবে শুনানির সময়।
কর্ণাটক হাইকোর্ট বিবাহোত্তর সঙ্গমে দুই পার্টনারের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত হয়েছেন। একজন অনিচ্ছুক যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলেছেন, অন্যজন বিয়ের পর স্ত্রীর ওপর স্বামীর পূর্ণ অধিকারের বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন। ৩৭৫ ধারা অবলুপ্ত করার মামলাটি ইরিমধ্যেই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।