স্বামীকে কুপিয়ে খুন, ব্যাগে ভরে দেহাংশ ফেলল দেবর
ছোটখাটো সাংসারিক ঝামেলা হলেই জুটত স্বামীর মারধর। অত্যাচারী স্বামীর থেকে রেহাই পেতে তাকে কুপিয়ে খুন করেন। এরপর স্বামীর দেহ টুকরা টুকরা করে দুটি ব্যাগে ভরে দেবরের সাহায্যে সরিয়ে ফেলেন। ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। দুজন অভিযুক্তকেই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বালেশ্বরের পুলিশ সুপার সাগরিকা নাথ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা রমেশকে খুনের অভিযোগে তার স্ত্রী সুলোচনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের পর ভাইয়ের ব্যাগভর্তি দেহাংশ সরিয়ে দেন সুলোচনার দেবর। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বলরামপুর গ্রাম থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ১২ মে দুটি ব্যাগে এক ব্যক্তির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে নেমে নিহতকে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। নিহতের নাম-পরিচয় জানার জন্য আশপাশের সমস্ত থানায় খবর পাঠানো হয়েছিল। তাতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি বলরামপুরের বাসিন্দা রমেশ।’
সাগরিকা নাথ জানান, এরপর রমেশের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন সুলোচনা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।’
তদন্তকারীদের দাবি, স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন রমেশ। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে ১০ মে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে খুন করেন সুলোচনা। এরপর রমেশের দেহ টুকরা টুকরা করে দুটি ব্যাগে ভরে ফেলেন। তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন দেবর। মোটরসাইকেলে করে ওই দুটি ব্যাগ তিনিই ফেলে দিয়ে আসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই খুনের অস্ত্রসহ ওই মোটরসাইকেল এবং নিহতের জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা