২৭ মার্চ হাসিনা-মোদি বৈঠক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনা ভাইরাস প্রকোপের মধ্যেই পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বাংলাদেশে আসছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন বলেছেন, এই সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহণ নিয়ে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উভয় প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে পৃথক দুইটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।
নরেন্দ্র মোদি মূলত মুজিববর্ষ উদ্যাপন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যৌথ উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই সফর করছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি পাতায় পাতায় সই আছে। তখন দুই দেশের সচিবরা তাতে সই করেছিলেন। তবে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, সফরের প্রথম দিন (২৬ মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। একই দিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য প্রদান করবেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সফরের দ্বিতীয় দিন (২৭ মার্চ) সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া, এ দিন তিনি সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে দুইটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, ২৭ মার্চ বিকেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুল মোমেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।❐