করোনার তথ্য ফাঁস করায় কারাদণ্ড
চীনের উহানের করোনা পরিস্থিতির খবর লাইভ করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার ফলে এক নারীকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিটিজেন জার্নালিস্ট ঝ্যাং ঝানকে মে মাস থেকে আটক রেখেছে চীনা প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য’ ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তার বিরুদ্ধে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায় চীনের আদালত।
চীনা মানবাধিকার সংস্থা ‘নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস’ জানায়, ঝ্যাং ঝান একজন নিরপেক্ষ নাগরিক ও শৌখিন সাংবাদিক। ১৪ মে উহান থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ১৫ মে সাংহাই থেকে তাকে আটক দেখায় পুলিশ। পরে ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি অনশনে ছিলেন বলে জানান তার আইনজীবী রেন কুয়ানিউ। ঝানের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রেন বলেন, ‘সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঝ্যাং ঝান।’
১৬ নভেম্বর প্রকাশিত অভিযোগপত্রে জানানো হয়, ঝ্যাং ঝান তার লেখা ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তথ্য ছড়িয়েছেন, যা রাষ্ট্রবিরোধী। এছাড়াও বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে উহানের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গুজব ছড়ানোরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে উহানে কয়েকজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও চীন সরকার সে তথ্য গোপন রাখে। পরে স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনে। এই বিষয়ে এর আগেও কয়েকজন সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চীন প্রশাসন।❐