উহানে সরকারি হিসাবের চেয়েও ১০ গুণ বেশি করোনা আক্রান্ত
চীনের উহান শহরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যা দেশটির সরকারি আক্রান্তের হিসাবের চেয়েও অন্তত ১০ গুণ বেশি। চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) নতুন এক জরিপে এ আভাস মিলেছে।
উহান শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ বলে ধারণা করা হয়। জরিপের আভাস অনুযায়ী প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। সে হিসাবেই উহান শহরের প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। এই আভাসটি সত্যি হলে, সরকারি হিসাবের চেয়ে শহরটিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ১০ গুণ বেশি।
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে শনাক্ত হয়। বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ না থাকলেও ধারণা করা হয়ে থাকে সেখানকার একটি বাজার থেকে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত শহরটিতে ৫০ হাজার ৩৫৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এই হিসাবের মধ্যে অবশ্য লক্ষণ ছাড়া আক্রান্তদের গণনা করা হয় নি।
একটি আন্তর্জাতিক দল ভাইরাসটির উদ্ভব নিয়ে গবেষণা করতে উহান পরিদর্শনের আগে একটি নতুন জরিপের ফল প্রকাশ করে, যেখানে সম্ভাব্য আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ। বেইজিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দরকষাকষির পর আগামী মাসে তাদের সফরের কথা চূড়ান্ত হয়েছে।
চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের নতুন জরিপ অনুযায়ী, উহান শহর এবং হুবেই প্রদেশের বৃহত্তর এলাকা, বেইজিং, সাংহাই এবং আরও চারটি প্রদেশ থেকে ৩৪ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সিডিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উহান শহরের প্রায় ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে। আর বৃহত্তর হুবেই প্রদেশে দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি রয়েছে।
জরিপে বলা হয়েছে, উহান শহরের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কম। সিডিসি বলছে, ভাইরাসটি ঠেকাতে উহানে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই তার ব্যাপক বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ২১ হাজার ৩৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯ জনের। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।❐
বিবিসি