পাকিস্তানে আদালত কর্তৃক ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’ নিষিদ্ধ
পাকিস্তানের একটি আদালত ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে। সোমবার লাহোরের হাইকোর্ট বিতর্কিত এই টেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন।
৩০ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি আয়েশা এ মালিক বলেন, ‘কুমারিত্ব পরীক্ষার এই চর্চা ভুক্তভোগী নারীর আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে।’
সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্ষণ আইনেও আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু ভার্জিনিটি বা টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে কোনও কথা ওঠে নি তখন।
পরে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মীরা এ পদ্ধতি বন্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে লাহোরের হাইকোর্ট এ রায় দেন।
পাঞ্জাবপ্রদেশে এটি কার্যকর হবে। পাকিস্তানে এ পদ্ধতি নিষিদ্ধের এটিই প্রথম রায়। মানবাধিকারকর্মীদের আশাপ্রকাশ করেছেন খুব দ্রুতই এ রায় সারাদেশে কার্যকর হবে।
টু ফিঙ্গার টেস্ট মূলত বহু পুরনো ও প্রচলিত একটি পরীক্ষা যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর যৌনাঙ্গে দুইটি আঙুল প্রবেশ করিয়ে ভার্জিনিটি পরীক্ষা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহু দিন আগেই জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনও অর্থ নেই। বরং এ ধরনের টেস্টের মাধ্যমে নারীদের অপমানই করা হয়।❐
আল জাজিরা