দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন মোদি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে শুক্রবার ( ২৬ মার্চ) ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার ( ২৭ মার্চ) রাত নয়টায় ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ঢাকা ছাড়ার আগে এক টুইট বার্তায় মোদি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সকল বিষয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ আরও গভীর করার উপায়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশের জনগণের আন্তরিকতার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে আরেক টুইট বার্তায় মোদি লেখেন, ‘আমার সফরকালে বাংলাদেশের জনগণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সকল বিষয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ আরও গভীর করার উপায়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছি। pic.twitter.com/thyyV12rRf
— Narendra Modi (@narendramodi) March 27, 2021
সফরের শেষ দিন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো:
১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা
২. বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়ার (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা
৩. বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা
৪. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সহযোগিতা
৫. রাজশাহী কলেজ মাঠের উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন
সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।❐