শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে চীন নীরব
যে চীনের অব্যাহত ঋণের কারণে বিশেষজ্ঞরা শ্রীলঙ্কাকে ঋণের ফাঁদে আটকে পড়েছে বলে অভিহিত করেন, শ্রীলঙ্কার এই কঠিন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের সময় সেই চীন একেবারে নীরব। তারা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সহায়তার কথা বিবেচনা করছে কিনা সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যেটাকে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
এতে বলা হয়, পক্ষান্তরে এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কিছু উন্নয়নশীল দেশের সাম্প্রতিক ঋণ সমস্যার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করছে চীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেছেন, একটি বন্ধুপ্রতীত প্রতিবেশী এবং সহযোগী অংশীদার হিসেবে আন্তরিকভাবে চীন আশা করে, শ্রীলঙ্কার সব সেক্টরের দেশের ও মানুষের মৌলিক একটি স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে, সেই জটিলতাকে কাটিয়ে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে। অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। জীবনমানের উন্নতি ঘটাতে হবে। সবার আগে এসব করতে হবে।
এ সময় তার কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, শ্রীলঙ্কার আর্থিক সহায়তার অনুরোধের বিষয় কি চীন বিবেচনা করছে কিনা এবং এ নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান ওয়াং ওয়েবিন। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় একটি টেকসই উন্নতি এবং বর্তমান জটিল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে চীন।
পর্যবেক্ষকরা বলেন, কলম্বোতে যে সরকারই আসুক তার সঙ্গে কাজ করার মতো বৃহত্তর অবস্থায় আছে বেইজিং, যেমনটা তারা করেছে পূর্ববর্তী সিরিসেনা সরকারের সময়ে।
তবু শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ ও সহায়তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করছে বেইজিং। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে ‘ঋণের ফাঁদ’ সৃষ্টির অভিযোগ আছে। এ সপ্তাহে এক হিসাবে দেখা গেছে জাপান যে ঋণ দিয়েছে তার তুলনায় মাত্র শতকরা ১০ ভাগ ঋণ দিয়েছে চীন। বেশির ভাগ ঋণ দেয়া হয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে।