বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী না হলে খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা
সময়টা এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের। নিত্যদিনের লোডশেডিংয়ের সাথে মানিয়ে নেয়ার। বিদ্যুৎ ব্যবহারে এতোদিন উদাসীন থাকলেও, জাতীয় স্বার্থে এখন সেই অভ্যাস ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা আশঙ্কা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে পুরনো অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে না পারলে সামনের দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে শঙ্কা তাদের।
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান, শপিংমলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের রাশ টেনে ধরতে পারলেও ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব বলে মনে করেন তারা
আগে স্যুট-টাই পরে অফিস করতেন ব্যাংক কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ। কিন্তু বিদ্যুৎ সংকটের এই সময় তিনি অফিস করছেন হাফ হাতা শার্ট পরে। অফিস কক্ষে এসি ব্যবহারও বাদ দিয়েছেন।
শুধু নিজের রুমেই নয়। পুরো অফিসেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টা করছেন তিনি। জানালেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা ও ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া এখন সময়ের দাবি, সময়ের চাহিদা।
অফিস থেকে দোকান। সংকটের এই সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বেড়েছে সেখানেও। আগে আলোক ঝলমলে দোকানগুলোতেও কিছুটা হলেও কমেছে বাতির ব্যবহার।
হিসেব বলছে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তার কমপক্ষে দশভাগ অপচয়। সেই অপচয় বন্ধের পাশাপাশি কিছুটা সচেতন হলে ২০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব।
এমন দাবি করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ এর দাম না বাড়িয়েই যেন চলতি সঙ্কট কাটানো যায় সেই চেষ্টাই করতে হবে ব্যক্তি পর্যায়েও।
তারা মনে করেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে উদাসীনতা কমাতে হবে। সংকটের এ সময় দিনের আলোতে ঢাকার কোথাও কোথাও সড়ক বাতি জ্বলতে দেখা যায়।
বিয়ে বাড়িতেও আলোকসজ্জা হয়। শুধু তাই নয়, বড় কোন অনুষ্ঠান হলেও বিদ্যুতের যথেচ্ছা ব্যবহার এখন রীতিমতো ফ্যাশন। সেসব দিকে নজর দেয়ার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়।
সেই সঙ্গে রাত আটটার পর দোকানপাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণী বিতান বন্ধের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বলেছে সরকার।