যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। একটি করে গোল করেছেন মেম্ফিস ডিপাই, ড্যালি ব্লিন্ড ও ডেনজেল ডামফ্রিস। গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করেন ইন্টার মিলানের ২৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ডামফ্রিস।
১৯৭৮ সালে রব রেনসেনব্রিঙ্কের পর নেদারল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় ডামফ্রিস, যিনি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে তিন গোলে অবদান রাখলেন। বেনসেনব্রিঙ্ক ৭৮’র আসরে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে এক গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ হতে পারে আর্জেন্টিনা অথবা অস্ট্রেলিয়া।
১৭টি শট নেয় যুক্তরাষ্ট্র। অনটার্গেটে ছিল ৮টি। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ১১ শটের ৬টি লক্ষ্যে রেখে গোল তুলে নেয় তিনটি। সহজ সুযোগ নষ্ট হওয়ার খেসারত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে নিজেদের রক্ষণের কথাও যেন ভুলে গিয়েছিল তারা।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দশম মিনিটে নেদারল্যান্ডসকে প্রথম গোল উপহার দেন মেম্ফিস ডিপাই। ডেনজেল ডামফ্রিসের অ্যাসিস্টে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ফরোয়ার্ড। আর জাতীয় দলের জার্সিতে ৪৩তম।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বকালের সেরা গোলদাতার তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন বর্তমানে বার্সেলোনায় খেলা ডিপাই। ৫০ গোল নিয়ে শীর্ষে রবিন ভ্যান পার্সি।
প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আরেক সাবেক ফুটবলার ড্যালি ব্লিন্ড। তার গোলেও অ্যাসিস্ট করেছেন ডামফ্রিস।
৩২ বছর ২৬৯ দিন বয়সী ব্লিন্ড ৭৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম গোল করলেন। জিওভানি ভ্যান ব্রনক্রর্স্টের পর (৩৫ বছর ১৫১ দিন) বিশ্বকাপে গোল পাওয়া নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় তিনি।
ভালো খেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া দলটি অবশেষে ৭৬তম মিনিটে গোলের মুখ দেখে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের ক্রস থেকে পা ছুঁইয়ে নেদারল্যান্ডের জালে বল পাঠালেন স্ট্রাইকার হাজি রাইট। তবে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লিড বাড়িয়ে নেয় নেদারল্যান্ডস। ৮১তম মিনিটে ব্লিন্ডের পাসে গোল করেন ডেনজেল ডামফ্রিস। শেষতক ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত রইলো কোচ লুইস ভ্যান গালের শিষ্যরা।