করোনায় মৃত্যুর অপর্যাপ্ত তথ্য দেওয়ায় চীনকে ডব্লিউএইচও’র হুঁশিয়ারি
চীনে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণার পর থেকে ফের করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণহানির তথ্য কম প্রকাশ করায় বৃহস্পতিবার চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও। খবর বিবিসির।
দেশটিতে প্রত্যেক দিন অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্যাপক শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এরপরও চীন করোনা পরিস্থিতির দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া নিজস্ব কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে গত ডিসেম্বর থেকে করোনা আক্রান্তে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ২২ জনের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থা বিভাগের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান জানান, চীনে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই সংকীর্ণ। হাসপাতালে ও আইসিইউতে ভর্তির ক্ষেত্রে, এবং বিশেষ করে মৃত্যুর ক্ষেত্রে চীনের প্রদত্ত পরিসংখ্যান কোভিড পরিস্থিতির প্রকৃত তথ্যকে কমভাবে উপস্থাপন করে’।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন গত মাসে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যু ঘোষণার জন্য নিজেদের মানদণ্ড পরিবর্তন করে। এর ফলে শুধুমাত্র যারা শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যায় তাদের মৃত্যু করোনার কারণে হয়েছে বলে গণনা করা হয়।
চীনের এই মানদণ্ড অবশ্য ডব্লিউএইচওর নিয়মের বিরুদ্ধে। তবে ডা. রায়ান বলছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে চীন সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে। আর এই কারণে তিনি ‘আরও ব্যাপক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, চীনের স্বতন্ত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিজস্ব ডেটা এবং অভিজ্ঞতা জানাতে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৈজ্ঞানিক তথ্য ও পর্যালোচনা বিষয়ক সংস্থা এয়ারফিনিটির ধারণা, চীনে দিনে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং দেশটিতে দিনে কোভিডজনিত প্রাণহানির সংখ্যা ১৪ হাজার ৭০০।
চীন তার কঠোর ‘জিরো কোভিড পলিসির’ মূল অংশগুলো প্রায় এক মাস আগে শিথিল করার পর দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।