অঘোষিত সফরে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রয়টার্স: অঘোষিত সফরে ইরাকে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইরাকে যুক্তরাষেট্রর আগ্রাসনের ২০তম বার্ষিকীর আগে দিয়ে তিনি দেশটিতে গেলেন।
যুক্তরাষ্ট্র যে ইরাকে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা দেখাতেই অস্টিন মঙ্গলবার এ সফরে গেলেন।
২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এতে লাখো ইরাকি নিহত হয়েছিল। ২০১১ সালে মার্কিন বাহিনী দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের উত্থান হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে অস্টিন ইরাক সফর করলেন। ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর দেশটিতে যাওয়া সর্বশেষ কমান্ডিং জেনারেলও তিনি।
ইরাকে পদার্পন করে অস্টিন বলেন, “ইরাক-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন করে সুদৃঢ় করতেই আমি এখানে এসেছি।”
ইরাকে বর্তমানে ২৫ হাজার মার্কিন সেনা আছে। বাড়তি আরও ৯শ সেনা সিরিয়ায় আছে। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াইয়ে নিয়োজিত স্থানীয় সেনাদের সহায়তা করা এবং উপদেশ-পরামর্শ দেওয়ার কাজে এই সেনাদের রাখা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “অস্টিনের কাছ থেকে ইরাকিরা যা শুনবেন, তা হল, সেখানে আমাদের বাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি। তবে এটি কেবল সামরিক সরঞ্জামের বিষয় নয়। ইরাক সরকারের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে আগ্রহী।”
সাবেক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্টিনের ইরাক সফরের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশটিতে ইরানের প্রভাব কমাতে কাজ করা প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল সুদানিকে সমর্থন দেওয়া।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা মাঝে মধ্যেই মার্কিন বাহিনীকে এবং রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসকে হামলার নিশানা করেছে।
২০২০ সালে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানের লেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পুরোদস্তুর সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।