টয়লেটে ক্যামেরা, অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের সাবেক কর্মী জেলে
থাইল্যান্ডে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের একজন সাবেক কর্মীকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মিশনে আইটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন নারীদের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিলেন।
৩৯ বছর বয়সী নায়োত থামসংসানা অশালীন কাজ করার জন্য দুটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডের যৌন এবং গণ-উপদ্রব আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, ২০২১ সালে টয়লেটের মেঝেতে একটি মেমরি কার্ড পাওয়া যায়। এর পরই সেখান থেকে ক্যামেরাগুলো আবিষ্কার করা হয়। তবে নায়োত কতদিন ধরে ক্যামেরাগুলো বসিয়েছিলেন তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
একজন প্রসিকিউটর এএফপিকে বলেছেন, ‘আদালত নায়োতকে দুটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং প্রতিটিতে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু তার স্বীকারোক্তির কারণে শাস্তি অর্ধেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
২০২২ সালের জানুয়ারিতে দূতাবাস একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করলে নয়োতকে বরখাস্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়। এবিসির তথ্য অনুসারে, তদন্তের সময় ৬০ জন নারী পুলিশের কাছে বিবৃতি জমা দিয়েছেন।
সূত্র: এএফপি