গ্যাংস্টার আতিকের অফিসে চাপ চাপ রক্ত! উদ্ধার মহিলাদের অন্তর্বাস
ভারতে নিহত মাফিয়া ডন ও রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের অফিস ঘিরে এবার ঘনীভূত রহস্য। কারণ ওই অফিসের সিঁড়িতে মিলল চাপ চাপ রক্ত। উদ্ধার হয়েছে ছুরি, সাদা রঙের একটি কাপড়, শাড়ি ও মহিলাদের অন্তর্বাস। এই অফিসের একাংশ আগেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই ভেঙে পড়া অফিসে কোথা থেকে এলো এত রক্ত? ছুরি, কাপড়ের টুকরা, শাড়ি বা অন্তর্বাসই বা কার? এসব প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
সোমবার চাকিয়া এলাকায় গ্যাংস্টার আতিকের অফিসে হানা দেয় পুলিশ। তারা দেখে, আতিকের অফিসের মেঝেতে একটি ছুরি পড়ে আছে। অন্যদিকে সোফায় পাওয়া যায় সাদা রঙের একটি কাপড়ের টুকরা। অফিসের একতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় শাড়ি ও নারীদের অন্তর্বাস।
তদন্তকারীদের অনুমান, এই অফিসে কোনো নারীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। পরে প্রমাণ গোপন করতে মৃতদেহ অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয়। আতিকের অফিসে মেলা রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের তলব করেছে প্রয়াগরাজ পুলিশ। পাশাপাশি এই অফিসে কোন কোন নারীর যাতায়াত ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাংস্টার আতিকের এই অফিসেই তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেবার ১০টি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড কার্তুজ ও ৭৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পুলিশি অভিযানের পরই প্রয়াগরাজ উন্নয়ন পর্ষদ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় আতিকের অফিসের একাংশ। তার পর থেকেই পরিত্যক্ত জায়গা হিসেবে পড় ছিল এই অফিস।
প্রয়াগরাজ পুলিশের এসিপি পি তিওয়ারি জানিয়েছেন, সোর্স মারফত খবর পেয়ে ওই বিল্ডিংয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সিঁড়ি ছাড়াও ওই অফিসের রান্নাঘর ও দোতলার ঘরে রক্তের দাগ মিলেছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল গ্যাংস্টার আতিক ও তার ভাইকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। ওই দিন নৈনি জেল থেকে রুটিন চেকআপের জন্য দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই আতিককে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সেই সময় সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আততায়ীরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তাকে। শ্যুটআউটে মৃত্যু হয় আতিকের ভাই আশরফেরও। জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই লাভলেশ তিওয়ারি, অরুণ মৌর্য ও সানিকে গ্রেপ্তার করে প্রয়াগরাজ পুলিশ।
সূত্র : এই সময়