বৈঠকে বসছেন ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত সীমান্ত ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে চীন ও ভারতের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এ পরিস্থিতিতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত পৌছেঁছেন চীনের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
লি ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এসসিওর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেবেন। ২০২০ সালে ২ দেশের সেনাদের ভয়াবহ সংঘাতের পর এটাই চীনের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর। সংঘাতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় ও ৪ জন চীনা সেনা নিহত হন।
এরপরও ২ পক্ষে মাঝে একাধিক সংঘাতপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। গত ডিসেম্বরে অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে। দুই দেশের মাঝে সংঘাতের মূলে রয়েছে হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্ত।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে লি দিল্লির সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন এবং ‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্বিক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা করবেন।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, লি’র সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দিল্লিতে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। তবে এ বৈঠকের বিষয়টি চীন বা ভারত, কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
২০২৩ সালে ভারত এসসিওর সভাপতির দায়িত্ব পায়। ২০০১ সালে চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি এশিয়ার ৪ দেশ তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তান মিলে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ন্যাটোর মতো শক্তিশালী পশ্চিমা জোটগুলোর প্রভাবকে সীমিত রাখা। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এতে যোগ দেয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শৌইগু দিল্লির সম্মেলনে সশরীরে অংশ নেবেন। পাকিস্তানের খাজা আসিফ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন।
আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। এনডিটিভি জানিয়েছে, এটাই হবে ২০১৪ সালের পর পাকিস্তানের কোনো নেতার প্রথম ভারত সফর। সে বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ ভারত সফর করেছিলেন।
সূত্র: সিএনএন