একের পর এক পরাজয়, চিন্তায় বিজেপি
ভারতে হিমাচলের পর দক্ষিণের একমাত্র দুর্গ কর্ণাটকেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এই নিয়ে গত সাত মাসে ৪ রাজ্যের নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হলো দলটিকে। গত আড়াই বছরে ৬টি বড় রাজ্যে অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে বিজেপি।
এমন পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার ওপর। অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খড়গে সভাপতি হতেই কংগ্রেসে যেন পরিবর্তনের হাওয়া।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তার মধ্যে মেঘালয়, দিল্লি (পৌর), হিমাচল ও কর্ণাটকে বড় হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে।
বড় জয় বলতে শুধু নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাট। অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরাতেও বিজেপি জিতেছে। কিন্তু এই ছোট ছোট রাজ্যগুলোকে জাতীয় রাজনীতিতে কোনো দিনই সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না।
২০২১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাডু, কেরালা, হিমাচলপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মতো রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে হারের মুখ দেখতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
তবে মল্লিকার্জুন খড়গে সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর কংগ্রেসের অন্দরেও যেন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ২০১৪ সালের পর হারাটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেসের। শেষ দু’মাসে সেই ছবি খানিকটা হলেও বদলাচ্ছে।
চলতি বছর আরও চার-পাঁচটা রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম। এই পাঁচ রাজ্যেও যে বিজেপি খুব ভালো পরিস্থিতিতে আছে, তেমন নয়। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির ভেতরেই দলের সভাপতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বরং কংগ্রেস অনেকটাই আশাবাদী।
কর্ণাটকে ২২৪ আসনের মধ্যে সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৭টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬৪টি। জেডিএস পেয়েছে ২০ আসন। অন্যান্য ৩টি।