হিরো আলমকে নিয়ে টুইট: জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব করে বাংলাদেশের অসন্তোষ প্রকাশ
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার পক্ষে গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হাজির হন ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে টুইটের প্রতিবাদে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বণিক বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস গত মঙ্গলবার এক টুইটে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।’ এর জবাবে বুধবার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাক্টিভিস্ট ডিপ্লোম্যাটদের সম্পর্কে বলতে চাই, আমেরিকায় যখন তখন লোক মেরে ফেলে, তারা কি স্টেটমেন্ট দেয় কখনো? ইউএন কি কোনো দিন স্টেটমেন্ট দিয়েছে? বলেছে কি আমেরিকায় লোক মারা যায় কেন?’
ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি ছেলে ফয়সাল মারা গেল এতদিন হলো। তারা কি বলেছে, ইউএন কি বলেছে এ ছেলের মৃত্যুর ইনভেস্টিগেশন কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো স্টেটমেন্ট দিয়েছে? আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না? প্রতিদিন কত লোক মারা যায় বিভিন্ন দেশে, তখন কেন তারা স্টেটমেন্ট দেয় না? আর বাংলাদেশ হলেই…, মগের মুল্লুক পাইছে ওরা। দ্যাটস নট অ্যাকসেপ্টেবল।’
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। বুধবার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১২ দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন।
মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহির দাবি জানাই। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।