২৯ ডিসেম্বর ভোটের মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তা ও নাশকতা এড়াতে ভোটের ৮ দিন আগে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৩ দিন তারা ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এসব বাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কেও বলা হয়েছে।
১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের এই নির্বাচনে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্র প্রতি ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী। ভোটের আগে-পরের ১৩ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনী মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
আনসার-ভিডিপিসহ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যরা ভোটের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশনের `ভেটিং’ শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় এ পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্রে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা- মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫-১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য থাকবেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধে ‘নীতিগত সম্মতি’ দেন রাষ্ট্রপতি। ওই বৈঠকের পরদিনই ইসি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে।