মধ্যপ্রাচ্য শান্তির চূড়ান্ত চুক্তি প্রকাশ করেলে ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য চূড়ান্ত চুক্তি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশি পাতার প্রস্তাবটি বাস্তবিক দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান হবে জানিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাইলও এতে একমত হয়েছে বলে তিনি জানান।
হোয়াইট হাউসে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদসম্মেলনে তিনি বলেন, আজ শান্তির জন্য ইসরাইল এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি টুকটাক কাজ করার জন্য কিংবা বড় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হইনি।-খবর গার্ডিয়ানের
তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন উল্লাস প্রকাশ করে দর্শকরা তাকে সমর্থন জানাচ্ছিলেন। কয়েক দফা পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরেন ট্রাম্প:
১. জেরুজালেম হবে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী। কিন্তু শহরটির পশ্চিমাংশ ফিলিস্তিনিদের সম্ভাব্য রাজধানী হতে পারে।
২. অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ বসতিকে ইহুদি রাষ্ট্রটির অংশ বলে স্বীকৃতি।
৩. ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতার প্রস্তাবে বর্তমান আকারের দ্বিগুণেরও বেশির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কোন ভূখণ্ডের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, তা পরিষ্কার করে বলেননি।
কিন্তু নিজের দেয়া বক্তব্যে নেতানিয়াহু কয়েক কাঠি সামনে এগিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিশাল অংশের ওপর ইসরাইলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি রয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়। আর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের কথা রয়েছে তাতে।
এই ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলের জন্য এটা এক বিশাল পরিকল্পনা। শান্তির জন্য এটা চমৎকার পরিকল্পনা।
নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণের বর্তমান অবস্থা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে। তার ভবিষ্যদ্বাণী মতে, এতে বহু বছর লেগে যাবে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে তিনি আরও কথা যোগ করে বলেন, হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের জন্য আপনার মতো এমন মহান বন্ধু আর কখনো আসেনি।
কিন্তু এই শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ফিলিস্তিনি পক্ষের কোনো নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব আখ্যা দিয়ে বহু আগেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তারা। প্রকাশের আগেই ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ফিলিস্তিনিরা।
এই প্রস্তাবের পক্ষে আরব দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত ছিলেন।
যদিও শান্তি চেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সৌদি আরব, মিসর ও জর্ডানের কোনো প্রতিনিধিকে সেখানে দেখা যায়নি।