বইমেলার চতুর্থ দিনে নতুন বইয়ের সংখ্যা ৯৫টি
অমর একুশে বইমেলার চতুর্থ দিনে নতুন বই এসেছে মোট ৯৫টি। এর মধ্যে গল্প ১১টি,উপন্যাস ১৭টি,প্রবন্ধ ৮টি,কবিতা ২৪টি,শিশু সাহিত্য ৪টি,জীবনী ৭টি,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১ টি,বিজ্ঞান বিষয়ক ২টি,ভ্রমণ ৩টি,ইতিহাস ৪টি,রাজনীতি ১টি,বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ১টি,রম্য/ধাঁধা ১টি,ধর্মীয় ১ টি,অনুবাদ ১টি,সায়েন্স ফিকশন ৪টি,ও অন্যান্য ৫টি।
মেলার অন্যান্য দিনের মতো আজ বিকেল ৪ টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অজয় দাশগুপ্ত রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন কৌশল ও হরতাল’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন,বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে দূরদর্শী রাজনীতিবিদ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার কাছে স্বাধীনতা মানে ছিল গণমানুষের মুক্তি এবং নিপীড়িত-পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার জন্যই আজীবন নিবিষ্ট থেকেছেন তিনি। অদম্য সাহস, সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও ফলপ্রসূ রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের কৌশল।
বাঙালির জন্য স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র গঠনের পরম লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছেন এবং আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বাঙালির চেতনাকে প্রস্তুত করে তুলেছেন বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নূহ-উল-আলম লেনিন ও আবু সাঈদ খান এবং অজয় দাশগুপ্ত।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুভাষ সিংহ রায়।
অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকে নানামুখী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে। দিনের পরদিন রাজপথে সংগ্রাম করে তিনি গণমানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। তাঁর আন্দোলন কৌশলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল মানুষকে সম্পৃক্ত করা।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যকে বুঝতে হলে তাঁর আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসকে গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী বঙ্গবন্ধু ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিয়েই আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়েছেন। তাঁর আন্দোলনে গণসম্পৃক্ততা ছিল বলেই চূড়ান্ত সাফল্য হিসেবে আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পেয়েছি।
মেলায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি আলতাফ হোসেন, কবি জাহিদ হায়দার, কবি ফারহান ইশরাক ও কবি রনজু রাইম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এনামুল হক বাবু, ফয়জুল আলম পাপ্পু, ও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী।
সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ,সম্পা দাস ও মো. মেজবাহ রানা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কাজী ইমতিয়াজ সুলতান (তবলা), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার) এবং ডালিম কুমার বড়ুয়া (কী-বোর্ড)।
আজ ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মোহিত কামাল, স. ম. শামসুল আলম, সাকিরা পারভিন সোমা, রাহেল রাজিব।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৫ম দিনে বিকেল ৪ টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নূহ-উল-আলম লেনিন রচিত ‘রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও কলকাতায় শেখ মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোহীত উল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আসাদ মান্নান এবং সাহেদ মন্তাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ হাসান ইমাম। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ,আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।