‘আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী’
স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নিতে আইন করার প্রস্তাব বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে পাস হয়েছে সংসদে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী সংসদ সদস্যদের তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে বুধবার বিলটি পাস হওয়ার পর ওয়াকআউট করে প্রতিবাদ জানায় বিএনপি।
ওয়াকআউট না করলেও বিলটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী যখন ভোটে দেন, তখন প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা ‘না’ ভোট দেন। বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার আগে জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো উত্থাপনের সময় এর প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা।
বিরোধী সদস্যদের সমালোচনার জবাব দিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এত বক্তৃতা শুনতে ভালো লাগে নাই। আপনারা এক সময় দায়িত্বে ছিলেন, কী কাজ করেছেন? পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে, জানা দরকার। বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলছেন- ব্যাংক, শেয়ারবাজার সব খালি করে ফেলেছি। আপনাদের সময় পুঁজিবাজার কী ছিল? আপনাদের সময় ইনডেক্স কী ছিল? এবার সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।’
মুজিবুল হক চুন্নুর উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একবার চিন্তা করে দেখেন। সাইফুর রহমান চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবার বিষয়েই আমি জানি।’
দেশের অর্থনীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একমাত্র রফতানি বাণিজ্য নেগেটিভ। এটা ছাড়া একটি খাতও নেই আমরা পিছিয়ে আছি। সবাই মনে করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জেপি মর্গান সবাই মনে করে জিডিপি আট ভাগের কম হবে না।’
রাজস্ব আয়ে ঘাটতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাট আইন নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আংশিক ভ্যাট মেশিন এনেছে। বাস্তবায়ন শুরু করতে পারিনি। রাজস্ব আহরণ কম বলছেন। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৭ হাজার বছরের শেষে পুরোমাত্রায় আদায় হবে। নেগেটিভ থাকবে না। কারণ আমাদের সৎ ও শক্ত প্রধানমন্ত্রী আছেন।’