মার্কিন সিনেটরের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ
মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি ট্রাম্প প্রশাসনকে সম্প্রতি ধর্মীয় স্বাধীনতায় সরকারের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছেন।
মার্কিন সিনেটরের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সিনেটর গ্রাসলির বক্তব্যের সত্যতা নেই। বাংলাদেশ দূতাবাস ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য সংশোধনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র শামিম আহমেদ।
তিনি বলেন, গ্রাসলির বক্তব্য শুধু পক্ষপাতমূলক নয়, বরং হতাশাজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শামিম আহমেদ বলেন, ‘দূতাবাস পরিষ্কার ভাষায় বলছে, তার বিবৃতি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি মার্কিন কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
অথচ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সেটার প্রশংসা করার পরিবর্তে সিনেটরের এমন মন্তব্য হতাশাজনক বলে দাবি করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র।
এর আগে লিখিত এক বিবৃতিতে প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি বলেন, রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশের নাগরিকরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের মুখে থাকা এইসব ব্যক্তিদের সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তব্য।
বিবৃতিতে চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ তিনটিতে সংখ্যালঘু ধর্মালম্বীদের তাদের ধর্ম পালনের অধিকারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়ে থাকে। ফলে সেখানে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য আরও বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, চাক গ্রাসলি যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সাতবার সিনেটর নির্বাচিত হওয়া গ্রাসলির অবস্থান প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পরই। ♦