দ্বিতীয়বারের মতো নিউ ইয়র্কের কুইন্সের মূলধারায় একুশে উদযাপন
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির সহায়তায় যথাযথ মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়।
এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো নিউ ইয়র্কের কুইন্সে মূলধারার সংস্থা কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি, ফ্লাশিংয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কুইন্স লাইব্রেরির সঙ্গে এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশি সংস্কৃতির মেলবন্ধন স্থাপন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান একুশে ফেব্রুয়ারির ওপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ভাষা শহীদদের সম্মান জানিয়ে বলেন, দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদ্যাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন।
নিউইয়র্ক রাজ্যের সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্ক রাজ্যের এ্যাসেম্বলি সদস্য ক্যাটালিনা ক্রুজ, জনাব রন কিম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উত্তরাঞ্চলের পরিচালক ব্রুক এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেনিস এম. ওয়ালকট বক্তব্য রাখেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশি সংস্কৃতির মেলবন্ধন স্থাপনের জন্য কনস্যুলেটের এই উদ্যোগকে তিনি অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের মূলধারার ‘কালচার ব্রিজ’ অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বহুভাষা ও সংস্কৃতির সম্মেলনে ওই অনুষ্ঠানে বাংলাভাষা ছাড়াও ভুটানিজ, থাই, কসোভান এবং কলাম্বিয়ান ভাষায় স্ব স্ব দেশের শিল্পীরা তাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন।
কলাম্বিয়া, কসোভো, ভূটান, সুইডেন এবং থাইল্যান্ডের কনসাল জেনারেলসহ ভারত ও জাপান কনস্যুলেট জেনারেলদের প্রতিনিধিবৃন্দ, কূটনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধি, মিশন এবং কনস্যুলেটর কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারা সকলে এ আয়োজনের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানটি আমেরিকার মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় কম্যুনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এটিকে একটি বিশেষ প্রাপ্তি হিসেবে অভিহিত করছেন। ♦