মালয়েশিয়ার অষ্টম প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিলেন মুহিউদ্দীন ইয়াসিন
মালয়েশিয়ার অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুহিউদ্দীন ইয়াসিন। গতকাল রোববার সকালে রাজপ্রাসাদে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির মোহাম্মদের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুহিউদ্দীন। আজ সোমবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের (৯৪) পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুহিউদ্দীন শপথ নিলেন।
শনিবার তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন দেশটির সাংবিধানিক রাজা। তবে রাজার এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন নি ডা. মাহাথির।
মুহিউদ্দীনের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিদের সমর্থন আছে কিনা তা দেখতে দ্রুত পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাহাথির।
রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত মহিউদ্দীনের শপথ অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড আদিবাসী পার্টি, মালয়েশিয়াস ইসলামিক পার্টি, ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এবং পিএএস দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শনিবার রাতে ইয়াইয়াসান আল বুখারিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির বলেন, তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বিশেষ করে মুহিউদ্দীনের পক্ষ থেকে এটি বেশি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মুহিউদ্দীন দীর্ঘদিন তার এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন। এখন তিনি সফল হয়েছেন। ডা. মাহাথিরের দাবি, পার্লামেন্টে তার পক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ২২২ এমপির মধ্যে তার পক্ষে ১১৪ জনের সমর্থন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ সম্পর্কিত একটি তালিকাও তিনি নিজের টুইটারে প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে ডা. মাহাথির আরও বলেন, মুহিউদ্দীন ভুল করে ঘোষণা করেছিলেন যে তার পেছনে ১১৪ জন এমপি রয়েছেন। এছাড়া আমানাহ নেগ্রাহর সহ-সভাপতি দাতুক সেরি সালাহউদ্দিন আইউব বলেন, ২২২ জন এমপির মধ্যে ১১১ জন ডা. মাহাথিরের পক্ষে সই করেছেন। আরও তিনজন মৌখিক সমর্থনও দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পার্টির প্রধান মুহিউদ্দীন ক্ষমতাসীন জোট পাকাতান হারাপানের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট। জোহর রাজ্যের পাগোহ থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাহাথির মোহাম্মদ ও নাজিব রাজাকের দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও তাদের জোট ন্যাশনাল বরিসনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন মুহিউদ্দিন।
জানা গেছে, জোট গঠনের সময়কার চুক্তি অনুযায়ী ডা. মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে মালয়েশিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল আনোয়ার ইব্রাহিমের।
কিছুদিন ক্ষমতায় থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করবেন- এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করেন নি মাহাথির। ♦