বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেলাল চৌধুরী এ পরোয়ানা জারি করেন।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে আবদুল মাজেদকে আদালতে হাজির করা হয়। মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা আজই কারাগারে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
পরোয়ানা পড়িয়ে শোনানোর পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার জন্য ২১ দিন সময় পাবেন আবদুল মাজেদ।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৬ আসামির মধ্যে আবদুল মাজেদকে সোমবার ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।
এখনও ১২ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। পলাতকরা হলেন- কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শিশুসন্তান রাসেল, স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মামলা হয়। বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
১৯৭৫ সালের ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।◉