Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 15, 2025
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্পের ‘উহান ল্যাব তত্ত্বে’ অস্ট্রেলিয়া বিপাকে

ট্রাম্পের ‘উহান ল্যাব তত্ত্বে’ অস্ট্রেলিয়া বিপাকে

ট্রাম্পের ‘উহান ল্যাব তত্ত্বে’ অস্ট্রেলিয়া বিপাকে

করোনাভাইরাস বিস্তারের মূল উৎস খুঁজতে একটি স্বাধীন তদন্তে অস্ট্রেলিয়ার দাবি গুরুত্বহীন করে ফেলায় হোয়াইট হাউসের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।

বৈশ্বিক মহামারী বিস্তারে চীনের গবেষণাগারের সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। এতে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে বেকায়দায় পড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কোনও প্রমাণ উপস্থাপন না করেই বেইজিংকে দায়ী করে তুমুল সমালোচনা করছে ওয়াশিংটন।

ফলে অস্ট্রেলিয় স্বাধীন তদন্তের দাবিকেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন দোষারোপের রাজনীতির এজেন্ডার অংশ বলে যুক্তি দেখাচ্ছে বেইজিং।

সব মিলিয়ে ক্যানবেরা একদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক চাপে রয়েছে, অন্যদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গেও সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

যদিও করোনা প্রাদুর্ভাব ভালোভাবেই সামলে অর্থনীতিকে সচল করার পরিকল্পনা করছে ক্যানবেরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, আর অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার চীন।

এখন একটি খোলাখুলি ও বৈশ্বিক মনোভাবপূর্ণ পর্যালোচনা তুলে ধরতে কঠোর পরিশ্রম করছেন অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তারা।

দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী সিমন বার্মিহাম বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে এসব করি নি। আমরা নিজস্ব বিশ্লেষণ, প্রমাণ ও পরামর্শ থেকেই কথা বলছি। অস্ট্রেলিয়ার সরকার যা বলছে, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের উল্লেখযোগ্য ফারাক খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন।

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পম্পেও বলেন, উহানের গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাস আসার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। যদিও তার কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্ব প্রমাণের মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কাজেই কীভাবে আরেকটি মহামারী আসলে তা প্রতিরোধ করা যায়, তা বের করতেই তিনি তদন্তের কথা বলেছিলেন।

শুক্রবার মরিসন বলেন, কোনও দেশকে উদ্দেশ্য করে তারা এই বক্তব্য দেন নি। যাতে ফের এমন কোনও প্রাদুর্ভাব না ঘটে, তা নিশ্চিত হতে এই ভাইরাস কীভাবে এসেছে, তা জানতে চেয়েছি।

অস্ট্রেলিয়া মনে করে, যদি একটি স্বাধীন তদন্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যায়, তবে চীনও তাতে সহায়তা করবে।

কিন্তু ক্যানবেরার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। কাজেই তদন্তের দাবি জোরদার করা হলে ইতোপূর্বে দুই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাবে।

এর আগে গত মাসে অস্টেলিয়ার পণ্য বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। যেটাকে অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগের হুমকি বলে মনে করেছে মরিসন সরকার।◉

রয়টার্স

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment