চীনে বিউবোনিক প্লেগ: পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
করোনা মহামারির মধ্যেই চীনের মঙ্গোলিয়ায় বিউবোনিক প্লেগ শনাক্ত হওয়ায় নতুন করে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্লেগ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন।
এদিকে, বিউবোনিক প্লেগ শনাক্তে মঙ্গোলিয়া সীমান্তবর্তী বুরিতিয়া অঞ্চলে কাঠবিড়ালী জাতীয় বিভিন্ন প্রাণির দেহে পরীক্ষা শুরু করেছে রাশিয়া।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড নাইন্টিনের আঘাতে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মঙ্গোলিয়ার বায়ান্নুর শহরের বিউবোনিক প্লেগ শনাক্ত হয়। এর পরপরই শহরজুড়ে ৩ মাত্রার প্লেগ প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করা হয়। প্লেগ ছড়িয়ে পড়া রোধে পর্যটন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে বায়ান-উলজি অঞ্চলে বিউবোনিক প্লেগ পাওয়ার পর প্রতিবেশী মঙ্গোলিয়ায় ৩৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত এক কিশোরকে বর্তমানে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহের পর এটি মঙ্গোলিয়ায় এটি তৃতীয় আক্রান্ত। গত সপ্তাহে তার দু ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মানব ইতিহাসে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের মধ্যে প্লেগ অন্যতম। করোনার মতো চীনজুড়ে এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
১৯১১ সালে উত্তর-পূর্ব চীনে এক মহামারী ৬৩ হাজার মানুষ মারা যায়।
শুধু চীন নয় ১৩৪৬ থেকে ১৩৫৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বে ২০ কোটির বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া বিউবোনিক প্লেগ নিয়ে উদ্বিগ্ন মঙ্গোলিয়া সীমান্তবর্তী রাশিয়াও। এরই মধ্যে সাইবেরিয়ার বুরিতিয়া অঞ্চলে প্লেগ শনাক্তে কাঠবিড়ালী জাতীয় মারমোট প্রাণির ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে দেশটি।
মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম মহামারী ব্ল্যাক ডেথ ছিল বিউবোনিক প্লেগ। এতে ইউরেশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপের কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয়।❑