পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বাংলাদেশে
ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজেদের হাতে থাকা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তা দেশেই উৎপাদিত অথবা আগের স্বল্প মূল্যে কেনা পেঁয়াজ। কিন্তু ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজেদের হাতে থাকা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
ঢাকার কলাবাগানের ক্রেতা সোহানা ইয়াসমিন বলছেন, দুদিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকায়, আজ কীভাবে সেটা ১০০ টাকা হয়? ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বুঝলাম, কিন্তু এই পেঁয়াজ তো আগেই কেনা। তাহলে এটার দাম বাড়ল কীভাবে?
দোকানদার আল-আমিন অবশ্য দাবী করছেন, পাইকারি বাজার থেকে তাকে চড়া দামে কিনতে হয়েছে। এ কারণে তিনিও বেশী দামে বিক্রি করছেন।
সরকারি হিসাবে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। তবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ থাকে। অথচ চাহিদা রয়েছে ৩০ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজের। বাকি ১১ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়, যার বেশীরভাগই আসে ভারত থেকে।
ঢাকার শ্যামবাজারের একজন পাইকারি বিক্রেতা জি এস মানিক বলেন, ‘এখন যারা বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন, এগুলো আসলে তাদের আগের কেনা। বাড়তি লাভ করার জন্য তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
তবে তিনি বলেন, ‘এই বছর আমাদের একটা প্রস্তুতি আছে। গত বছরের পেঁয়াজ আমদানির অভিজ্ঞতাও আছে। এছাড়া দেশে যে মজুত আছে, তাতে আরও অন্তত দুই মাস চলবে। আমার মনে হয় না যে এইবার পেঁয়াজের দাম গত বছরের মতো হবে।’
অযৌক্তিকভাবে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার কারণে পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই সময় জরিমানাও করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার চেষ্টা করবো। গত বছর থেকে আমাদের তো কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর, চীন থেকে। বাইরে থেকে আমদানি করা সম্ভব হলে পরিস্থিতি ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে গত বছরের মতো পরিস্থিতি এবার হবে না। কারণ দেশে তো পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। হয়তো ৩০/৪০ টাকা হবে না, কিন্তু গত বছরের মতো অতো দামেও বিক্রি হবে না।’❐