ইটালিকেও ছাড়িয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র!
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর এখনও কোনও বিরতি নেই। বুধবার আবারও সে–দেশে প্রায় ২০০০ করোনা–আক্রান্ত মারা গেলেন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক করোনা–মৃত্যু বেড়ে ১৬,৬৬৯৭।
শীর্ষে এখনও ইটালি। সেখানে ১৮,২৭৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি বলছে ইটালিকে ছাড়িয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য–পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এই ১৬,৬৬৯৭টি মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি, ৯,১৪৭ মৃত্যু ঘটেছে নিউ ইয়র্ক রাজ্য এবং সংলগ্ন নিউ জার্সি ও কানেক্টিকাটে।
আর কেবল নিউ ইয়র্ক শহরেই মারা গেছেন ৭,০৬৭ জন। এ ছাড়া ১,০৭৭ জন মারা গেছেন মিশিগানে, লুইজিয়ানায় ৭০২, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫৯, ইলিনয়ে ৫২৮, ম্যাসাচুসেট্সে ৫০৩ এবং ওয়াশিংটনে ৪৫৫ জন করোনায় মারা গেছেন।
সব মিলিয়ে আমেরিকাই বিশ্বের সবচেয়ে করোনা–আক্রান্ত দেশ এখন, সংক্রামিতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৮৭ জন। তার মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩২,০০০ নতুন সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সামগ্রিক সংক্রমণের হিসেবে স্পেন (১,৫৩,২২২) ও ইটালির (১,৪৩,৬২৬) তিন গুণ। এবং বলাই বাহুল্য যে, নিউ ইয়র্কই এখনও আমেরিকার সংক্রমণের মূল কেন্দ্র।
আমেরিকায় যত মানুষ এখনও আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২৫,৯২৮ জন। যদিও দেরিতে টনক নড়লেও, এখন চেষ্টার কসুর হচ্ছে না। দিনে এক লক্ষেরও বেশি নাগরিকের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে এখন। এঁদের ৯০ শতাংশই সেই সব এলাকায় থাকেন, যা লকডাউনে চলে গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার জানিয়েছে, আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে। এর সুফল অবশ্য পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ কমতে শুরু না করলেও আর বাড়ে নি বলে দাবী করছে সত্রকার। একটা উচ্চতায় পৌঁছে এখন মোটামুটি সরলরৈখিক পথে যাচ্ছে। ৪০% পরীক্ষার ফলাফল যদিও এখনও পজিটিভ আসছে এবং বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হার।
আমেরিকার সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের প্রধান ড. অ্যান্টনি ফুসি সতর্ক করে দিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণের হার কমানো গেলেও, এখনই নিশ্চিন্ত বোধ করার কোনও কারণ নেই। কারণ সামাজিক দূরত্বই এখন একমাত্র অস্ত্র করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের, যতক্ষণ না করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হচ্ছে। আর তা হলেও, মানবদেহে প্রয়োগের জন্য অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে।◉