এক শতাংশ মানুষ বিশ্বের সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন
মুষ্টিমেয় কিছু ধনী বিশ্বের সিংহভাগ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন। শীর্ষ এই এক শতাংশ ধনীরা বিশ্বের কাছে পরিচিতি পান অকুপ্যাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সূত্রে। ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের প্রতি বঞ্চনার প্রতি ইঙ্গিত করতেই ‘এক শতাংশ’ উপমাটি ব্যবহার করেন।
ওই আন্দোলনের এক দশক পরেও আজকের দুনিয়ায় ধনী-দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই ধনীরা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় যত বেশি সম্পদশালী হয়ে উঠেছেন, তত বেশি তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে বিশ্বের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায়। খবর ব্লুমবার্গের।
অবশ্য এক শতাংশের সংজ্ঞার মাঝে বিস্তর ব্যাখ্যার সুযোগ আছে। এর আওতায় শুধু সেরা ধনীরা নন, দেশ ও অঞ্চল ভেদে নানা অংকের বিত্তশালীরাও আছেন। আরও রয়েছেন সফল পেশাজীবী থেকে শুরু করে শত কোটি ডলারের মালিক উদ্যোক্তারা।
তাই শীর্ষ এক শতাংশের খাতায় নাম ওঠানোর নেপথ্যে অবদান রাখে জাতীয় পরিচয় এবং স্থানীয় অর্থনীতি।
যেমন- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ধনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে দরকার কমপক্ষে বার্ষিক ৯ লাখ মার্কিন ডলার আয়। সেই তুলনায় ভারতে বিত্তশালীদের কাতারে নাম লেখাতে হলে এর চাইতে ১২ গুণ কম আয়ই যথেষ্ট।
ভারতে বিশাল জনগোষ্ঠী ও বাজার অর্থনীতির কারণে দেশটির শীর্ষ এক শতাংশের মাঝে আছেন ১৩ লাখ মানুষ। অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশে ধনী হতে হলে অবশ্য বার্ষিক দুই থেকে তিন লাখ ডলার আয় করাই যথেষ্ট।
তবে বিশাল পার্থক্য আছে সম্পদশালী এক শতাংশ এবং শীর্ষ ধনীর আলাদা তালিকায় থাকা দশমিক এক শতাংশের মাঝে। যুক্তরাষ্ট্রে এক শতাংশের মাঝে অবস্থান করে নিতে বার্ষিক আয় ৫ লাখ ডলার থাকলেই তা যথেষ্ট। অন্যদিকে দশমিক এক শতাংশে অন্তর্ভুক্তির জন্য দরকার ২০ লাখ ডলারের আয়। আর অতি ধনীদের দশমিক শূন্য এক শতাংশে উঠে আসতে চাইলে বার্ষিক আয় থাকতে হবে নূন্যতম ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি মার্কিন ডলার।