দাম্পত্য জীবনে পাপিয়া ছিলেন সুমনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন ওরফে মতি সুমন রাজনীতির আড়ালে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
গেল ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমানোর সময় পাপিয়া ও স্বামীসহ চারজনকে আটক করে র্যাব।
এ ব্যাপারে পৃথক তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিউ দম্পতি ছাড়াও তাদের দুই সঙ্গী বর্তমানে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।
জানা গেছে, দাম্পত্য জীবনে সুমন ছিলেন পাপিয়ার হাতের পুতুল। তার কোনও চাওয়া পাওয়াকেই মূল্য দিতেন না পাপিয়া। সুমনের ইচ্ছের কোনও দামও ছিল না।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছেন, একপর্যায়ে পাপিয়া তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান। স্বামী হলেও তার চাওয়া-পাওয়ার মূল্য তিনি কমই দিতেন। পাপিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু চলত। পাপিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি তিনি নিয়মিত ফেসবুকে প্রচার করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, পাপিয়া নরসিংদী সরকারি কলেজে লেখাপড়া করতেন। ওই সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় সুমনের। পরিচয় হওয়ার পর তারা ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। বন্ধু থেকে একপর্যায়ে মতি সুমনের প্রেমিকা হন পাপিয়া।
সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর একদিন পাপিয়া কলেজের ভেতরে সুমনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হলে পাপিয়া তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ নিয়ে পাপিয়া ও সুমনের গ্রুপের মধ্যে কলেজে মারামারি হয়। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পাপিয়াকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে চাননি সুমন। পরে বাধ্য হয়ে পাপিয়াকে বিয়ে করেন সুমন। ♦