দিল্লির সহিংসতার আগুনে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান এবং ৩০১টি গাড়ি
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র প্রশাসনের তৈরি করা অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উঠে এসেছে।
দিল্লির উত্তর-পূর্ব জেলার ওই রিপোর্টে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সহিংসতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান এবং ৩০১টি গাড়ি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সোমবার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত রিপোর্টে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে তৈরি ১৮টি দলের পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে এই দলগুলো উত্তর-পূর্ব দিল্লির সহিংসতা বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ‘ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ চালিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সহিংসতার বলি হয়েছেন ৪৭ জন। আহত হয়েছেন ৩৫০ জনের বেশি।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ফাইল করা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৭৯টি বাড়ি, ৫২টি দোকান, পাঁচটি গোডাউন, চারটি মসজিদ, তিনটি কারখানা এবং দুটি স্কুল। পাঁচশর বেশি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ বন্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর আলটিমেটামের কয়েক ঘণ্টা পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএএবিরোধী মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা শুরু করে আইনটির সমর্থক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের সশস্ত্র কর্মীরা।
দিল্লির নজিরবিহীন এই সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন গুলিবিদ্ধ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ‘হিন্দু কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ♦