Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 22, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকদুই সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন একই পরিবারের সব সদস্য

দুই সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন একই পরিবারের সব সদস্য

দুই সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন একই পরিবারের সব সদস্য

করোনাভাইরাস চীনের পরেই সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইটালিতে।
 
করোনায় প্রাণহানি ও অসুস্থদের হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওর্য়াল্ড-ও-মিটারের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত এ সংক্রমণে বিশ্বের সর্বমোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ঘটেছে ইটালিতে।
 
এসব মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে একই পরিবারের কয়েকজন সদস্যও। কেউ বাবা-বড় ভাইকে হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন মাকে।
 
তবে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে দেশটির উত্তরে অবস্থিত লোম্বার্দির ভোঘেরা শহরে।
 
জানা গেছে, ওই শহরের পুরো একটি পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে মহামারী করোনা।
 
ইটালির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে, ইটালিতে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল লোম্বার্দি। সেখানকার ভোঘেরা শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যেই একে একে মারা গেছেন একই পরিবারের সব সদস্য।
 
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, মার্চের শেষ সপ্তাহে ভোঘেরা শহরের বাসিন্দা আলফ্রেদো বারতুচ্চির জ্বরের কবলে পড়েন। এরপর তার শুরু হয় কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। দু একদিনের মধ্যেই পরিবারের সবাই একই রকম কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন।
 
পরিবারের সবার পরীক্ষার পর তাদের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর একই হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ মার্চ প্রথমে মারা যান ৮৬ বছর বয়সী আলফ্রেদো বারতুচ্চি।
 
এর এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান তার দুই ছেলে দানিয়েল (৫৪) ও ক্লদিও (৪৬)। ১ এপ্রিল মারা যান আলফ্রেদোর স্ত্রী ৭৭ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলা।
 
স্থানীয় বাসিন্দা আন্তোনিও রিকার্দি বলেন, ‘মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই একটি পরিবার পুরো শেষ হয়ে গেল। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাও করি নি। এই পরিবারের তিন পুরুষই স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী ছিলেন। আমরা এখন জীবিত থেকেই যেন মৃত্যুর স্বাদ নিচ্ছি।’
 
জানা গেছে, পেশায় কামার ছিলেন আলফ্রেদো বারতুচ্চি। নিজের দুই ছেলেকেও এ পেশায় নিযুক্ত করেছিলেন। ভোঘেরা শহরে তারা তিনজনই ছিলেন অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত কামার।
 
চলতি বছরের শুরুতে ছোট ছেলে ক্লদিও পারিবারিক এই পেশার বিষয়ে স্থানীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
 
তিনি বলেছিলেন– ‘বাবার হাত ধরে এ পেশায় আমার অন্তর্ভুক্তি। তাই আমি গর্বিত। গত ১০ বছর ধরে গর্বভরে আমি কাজ করে যাচ্ছি। কারণ বাবা আমার শিক্ষক এবং তিনি এ কাজে উত্তম। আমি তার মতো হতে চাই।’
 
মহামারী করোনা ক্লদিয়ার সেই ইচ্ছা পূরণ হতে দেয় নি। কামারশালাসহ পুরো পরিবারই এখন ইতিহাস।
 
প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত অঞ্চল ইতালির লোম্বার্দি। মৃত্যুর সংখ্যায় সবার ওপরে অবস্থান এলাকাটির।
 
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, ইটালিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৮৪৭ জন।♦
 
 
Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment