ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামির মুক্তি, ভারতে বিক্ষোভ
ভারতে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে মুক্তি দেয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
২০০২ সালে গুজরাটে ভয়াবহ দাঙ্গার সময় ধর্ষণের শিকার হন সন্তানসম্ভবা এক নারী। সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মুসলিম নারীটির তিন বছর বয়সী কন্যাশিশুসহ পরিবারের সাত সদস্য নিহত হন।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় গুজরাটে নিহত হয় এক হাজারের বেশি মানুষ।
পরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১১ জনকে।
চলতি বছর ১৫ আগস্ট দেশটির ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
দুই দশক আগে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বয়স এখন ৪০। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মুক্তিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, এমন সিদ্ধান্তে দেশটির শাসনব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের প্রতিও তার আস্থা কমে যাচ্ছে।
আন্দোলনরতদের অন্যতম সংগঠক কবিতা কৃষ্ণা বলেন, ‘গোটা দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর জবাব আদায় করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির ঘাঁটি নামে পরিচিত গুজরাটে বিজেপির কার্যালয় জানিয়েছে, ওই ১১ আসামি ১৪ বছর করে কারাভোগ করেছেন। ১৯৯২ সালের একটি বিশেষ মওকুফ আইনের (রেমিশন) পাশাপাশি তাদের দণ্ড-আদেশের একটি শর্তানুযায়ী কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তবে প্রতিবাদের মুখে, ২০১৪ সালে মওকুফ আইনটি বাতিল করে ভারতীয় আদালত।