নিউ ইয়র্ক পুলিশে ইন্সপেক্টর পদে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকানের পদোন্নতি
গত ৩১ জানুয়ারি এনওয়াইপিডির সদর দপ্তর ওয়ান পুলিশ প্লাজায় জমকালো এক অনুষ্ঠানে পদোন্নতি প্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন পুলিশ কমিশনার।
একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান, বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বিভাগ হিসেবে পরিচিত এনওয়াইপিডিতে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। খন্দকার আব্দুল্লাহই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান যিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এত উচ্চপদে আসীন হলেন। এই পদোন্নতির আগে তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী ডেপুটি ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ইন্সপেক্টর খন্দকার আব্দুল্লাহ নিউ ইয়র্ক সিটির ৮১তম প্রিসিংক্টে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ একজন অভিবাসী, তিনি ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। জন জে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী খন্দকার আব্দুল্লাহ, তার কাজের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ পদক লাভ করেছেন।
খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি জব ফেয়ারে দেখেছিলেন যে এনওয়াইপিডি লোক নিয়োগ করছে। প্রথমে অনেকটা কৌতূহলের বশেই তিনি খণ্ডকালীন ইন্টার্ন হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি পুলিশ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সেই সময়েই তাকে পেয়ে বসেছিল। খন্দকার আব্দুল্লাহ ২০০৭ সালে পুলিশ অফিসার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশি সহকর্মীদের পেশাগত উন্নয়ন ছাড়াও বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে বাপা। যা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।পদোন্নতি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তারাসহ অনেক বাংলাদেশী পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন । তার সাফল্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা’র )মিডিয়া লিয়াজন ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার জনি।
বাপার প্রেসিডেন্ট সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী , সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন একেএম আলম ( প্রিন্স ) এবং সেক্রেটারি ডিটেকটিভ রশিকুল মালিক পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ।