ফেব্রুয়ারিতেই ইউক্রেনে রুশ হামলা, আশঙ্কা বাইডেনের
ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি মুখোমুখি অবস্থানে বিশ্বের দুই সামরিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। চলমান এ উত্তেজনার মধ্যেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বিবিসি।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া আগামী মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে এমন একটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন বাইডেন। দেশটিতে হামলা বা আগ্রাসনের চেষ্টা চালালে রাশিয়ার ওপর কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগেও তিনি হামলার বিষয়ে ন্যাটোসহ তার মিত্র দেশগুলো একাধিকবার সর্তক করেছিলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন বাইডেন। এ সময় তিনি রাশিয়ার হামলার সমুচিত জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চলমান উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতে যেকেনো সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
রাশিয়ার হামলা বা আগ্রাসনের কারণে দেশটির গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধের হুমকিও দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গ্যাস পাইপলাইনটি নর্ড স্ট্রিম-২ নামে পরিচিত। মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস জার্মানি তথা পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প আর সামনে এগোবে না।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প কীভাবে বন্ধ করবে এবং এটি বন্ধ বা বাতিল করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের আছে কি না, সে বিষয়ে বিশদ কোনো ব্যাখ্যায় যাননি নেড প্রাইস। তিনি কেবল বলেছেন, এ প্রকল্প যেন সামনে না এগোয়, তা নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে আমরা কাজ করব।
জার্মানির কর্মকর্তারাও বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিয় ইউক্রেনের সীমান্তে কয়েক হাজার রুশ সেনার জমায়েত হামলার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। অবশ্য, হামলার পরিকল্পনার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেন নিয়ে ন্যাটো সংক্রান্ত মূল দাবি প্রত্যাখ্যান করার কূটনৈতিকভাবে সঙ্কট সমাধানের সুযোগ সীমিত বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ ব্যাপারে বলেন, সঙ্কট সমাধানের জন্য সামান্য জায়গা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের স্বার্থের জন্য সংলাপ চলতে পারে।
আজ শুক্রবার এসব বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের কথা রয়েছে।