বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে: সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তাসুলভ মনোভাব ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজের আয়োজনে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে অগ্রযাত্রা: বঙ্গোপসাগর এবং তার বাইরে একটি উন্মুক্ত, স্থিতিস্থাপক এবং আন্তঃসংযোগপূর্ণ উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনে এ কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আরও বলেন, বাংলাদেশ তাদের স্থল ও সমুদ্র-সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বঙ্গোপসাগরকে বিশ্বের কাছে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত করে তুলেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল হবে এমন একটি এলাকা, যেখানে মানুষ অবাধে ও উন্মুক্তভাবে সমুদ্রে চলাচল করবে। এ অঞ্চলের সমুদ্র ও আকাশপথ যাতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত ও ব্যবহৃত হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করব। আমরা অব্যাহতভাবে এই অঞ্চলের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলব। তাই যৌথ সমস্যা মোকাবেলায় আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ জনগোষ্ঠী হিসাবে কাজ করতে হবে।
এদেশের শিক্ষার প্রসারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়ে পিটার হাস বলেন, ১৯৫৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশী নেতাদের জন্য আয়োজিত বিনিময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে আমেরিকায় লেখাপড়ার জন্য প্রেরিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দ্রুততম হারে বাড়ছে। গত বছর প্রায় ৮,৬০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দিয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস ও বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন বিশ্বের জন্য একটি সতর্কবাণী। আমাদের নীতি-আদর্শগুলো অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। তবে এই নীতি-আদর্শগুলো সুরক্ষার লক্ষ্য কোন দেশকে দাবিয়ে রাখা নয়। বরং সব দেশের জন্য তাদের নিজ নিজ পথ বেছে নেওয়ার অধিকার সুরক্ষা করা, যা হবে জবরদস্তি ও ভয়ভীতিমুক্ত। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এছাড়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এইচ ই অধ্যাপক ড. গৌহার রিজভী। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে সম্মেলনে সমাপ্তি পর্বে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম, রাষ্ট্রদূত (অব.) ফারুক সোবহানসহ মাশফি শামস, লাইলুফার ইয়াসমিন, সাহাব এনাম খান ও শারলিনা হুসেইন মরগ্যান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কয়েকটি সেশনে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।