মাংকিপক্স রোধে বেনাপোলে সতর্কতা
নতুন ধরনের ভাইরাস মাংকিপক্স রোধে কঠোর সতর্কতা গ্রহণ করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে মাংকিপক্স ভাইরাসের সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার।
কর্তব্যরত কর্মকর্তারা বলছেন, ভারত ফেরত প্রতিটি যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সংক্রমক এই ভাইরাসে আতঙ্কিত ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা।
আতঙ্ক রয়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগ, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ভারত ফেরত যাত্রী শফিক আহমেদ জানান, মাংকিপক্স রোগের বিষয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কোনো যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করেনি। বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য ডেস্কে আমার হাত-পায়ে কোনো র্যাশ (চামড়া ফোলা/ চুলকানি) আছে কিনা পরীক্ষা করেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার জানান, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ভারত ফেরত প্রতিটি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ৭ সদস্যের মেডিক্যাল টিম এখানে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। এখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।
সকল যাত্রীকে মাক্স ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মাংকিপক্সের ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সকল অফিসার এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী সকল যাত্রীকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারও সকল যাত্রীদের স্ক্যানিং করে যাচাই-বাছাই করছেন।